প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৬:৩৯ PM
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় আগামী ২৪ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানিতে অংশ নিতে ড. ইউনূস আদালতে আসবেন বলে আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান।
বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থপনের শুনানির বিষয়ে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ মামলার সাক্ষীদের বর্ণনায় ড. ইউনূসসহ অন্যরা সংশ্লিষ্ট আছেন এমন কোনো বর্ণনা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ডকুমেন্ট নেই। তিনি আরও বলেন, মামলার আর্জিতে কোথাও আসামিরা অপরাধী এমন কোনো অভিযোগ উল্লেখ নেই। কোম্পানি আইন অনুযায়ী অপরাধ কোম্পানির হবে। কিন্তু এখানে অসৎ উদ্দেশে ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ কারণে এ মামলা চলতে পারে না। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর এ মামলায় আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। ওইদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সপ্তম বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সাথে ছিলেন এডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান।
অপরদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
গত ৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চার জন আসামির ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদি করা হয়েছে।