প্রকাশ: রোববার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৩০ পিএম |
গাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে সৌদি আরব। শনিবার সৌদি সরকার গাজা উপত্যকার উত্তরে আল-ফাখৌরা স্কুলে ইসরায়েলি আক্রমণকে ‘নির্লজ্জ বোমা হামলা’ বলে বর্ণনা করেছে। এ ইসরায়েলি হামলায় অসংখ্য ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর দ্বারা গাজা উপত্যকার ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত আল-ফাখৌরা স্কুলে মারাত্মক বোমা হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। দেশটি পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক লোকদের ওপর এ ধরনের ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে। তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও ত্রাণ সুবিধা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। সৌদি আরব জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার আহ্বান জানাচ্ছি।
শনিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় স্কুলটিতে অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের এ স্কুলটি জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা বা ইউএনআরডব্লিউএ দ্বারা পরিচালিত হয়। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১২ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ এ অঞ্চলে অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জা-সহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ বন্ধ আছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৫০০০ শিশু রয়েছে।
শনিবার খান ইউনিসের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ওই ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। অপরদিকে গাজা শহরের প্রধান হাসপাতাল ছেড়ে শনিবার শত শত মানুষ চলে গেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রোগীও আছেন।
সেখানকার কয়েকজন মেডিকেল কর্মকর্তা বলেছেন যে তাদের চলে যেতে বলা হয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েল তাদের এই দাবির বিরোধিতা করেছে।
গোলাগুলির মধ্যে অনেক মানুষকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেকার পথ দিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। হামাসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় দু’টি বিস্ফোরণে একসঙ্গে ৮০ জন নিহত হয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি