প্রকাশ: শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:৫০ পিএম |

পটুয়াখালীতে মিধিলির প্রভাবে গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত ভারী বর্ষণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে গলাচিপা, দশমিনায় সারাদিন টানা বর্ষণ ও দমকা হাওয়া বয়ে যায়। উত্তাল সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনমনে। মাঠঘাট ও বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি চলে গেছে পানির নিচে। যার ফলে চারা দেওয়া খেতের ধান ভেসে যাওয়া ও নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষকের মাঝে। এছাড়া চারা দেওয়ার জন্য বীজ ধান প্রস্তুত থাকলেও, পানি ও বৃষ্টির কারণে বীজতলা বুনতে পারছেন না কৃষকরা। এ অবস্থায় ধানের চারা উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন চাষিরা। যার প্রভাব পড়বে বোরো উৎপাদনে।
স্থানীয় কৃষক শাহজাহান বিশ্বাস বলেন, আর মাত্র ১৫ দিন পরেই ধান কাটার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ঝড়ের কবলে সব ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। ফসল ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে এভাবে ঝড়ের কবলে পড়তে হবে ভাবিনি। অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। সবজি চাষি দেলোয়ার মৃধা বলেন, আমি কিছুদিন আগে লাল শাকের বিচি ফালাই কিন্তু বৃষ্টির কারণে সব নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রেহেনা বেগম বলেন, আমি অনেক গুলো কলা গাছ লাগাইছি এই বন্যার বাতাসে বেশিরভাগ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পটুয়াখালীতে এখন মাঠে ১ লাখ ৯১ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান আছে। তার মধ্যে মাত্র ৫ ভাগ ক্ষেতের ধান পরিপক্ব হয়েছে। ঝড়ো বাতাসের ফলে আমন ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের ধান কাটার মতো হয়েছে, তাদের ধান কেটে ফেলতে বলা হয়েছে।