রোববার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
 
শিরোনাম: শিগগির ভারত থেকে আসছে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ        গাজার অর্ধেক জনগোষ্ঠীই এখন অভুক্ত: জাতিসংঘ        ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি : শিক্ষাবোর্ড        ব্যালট বাক্স ছিনতাই হলে ভোট বন্ধের নির্দেশনা        ডেঙ্গুতে আরও ৯ প্রাণহানি, হাসপাতালে ৪৫৯        হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত        আ.লীগের নির্বাচনী প্রচার শুরু কবে, জানালেন কাদের       


বাংলাদেশ ব্যাংক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা!
অনিয়মই যেখানে নিয়ম ভুয়া তথ্যে নিয়োগ
এমপিও হয়েছেন ৬ শিক্ষক, তিন বছরে লুটপাট ২৩ লাখ টাকা
আবদুল হাই তুহিন
প্রকাশ: রোববার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩, ৮:১৭ পিএম |

রাজধানীর বাংলাদেশ ব্যাংক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল যেন সব কাজের কাজী। প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেতন-ভাতা নেয়া, ভুয়া তথ্য দিয়ে ছয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করানো, পছন্দের প্রার্থীকে নম্বর বাড়িয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, প্রতিষ্ঠানের তহবিল খালি করে নিজেসহ শিক্ষকদের মাঝে অর্ধকোটি টাকার ঋণও নিয়েছেন এই মোস্তফা কামাল। স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সভাপতি ও পছন্দের সহকর্মীদের নিয়ে গড়া সিন্ডিকেটকে সঙ্গে নিয়ে বছরের পর বছর এমন অনিয়ম করছেন এই শিক্ষক। যা ধরা পড়েছে খোদ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ও পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে। তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, মোস্তফা কামাল নিজের পদ অনুযায়ী ৭ম গ্রেডের বেতন কাঠামোতে সর্বসাকুল্যে ৭০ হাজার টাকার মতো বেতন ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু নিজেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডে নিয়ে গিয়ে স্কুল থেকে প্রতিমাসে বেতন নেন তিনি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। শুধু নিজেই নেন না, এমন ভয়াবহ অনিয়ম যাতে প্রকাশ্যে না আসে সেজন্য পছন্দের শিক্ষক, অফিস স্টাফদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রতিমাসেই স্কুল থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ হাজার থেকে সর্বনিু ১৪ হাজার টাকা করে বেতন দিচ্ছেন মোস্তফা কামাল। ২০১১ সালে নিয়োগের পর থেকে শুধু মোস্তফা কামালই প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত অতিরিক্ত নিয়েছেন ৩০ লাখ টাকারও বেশি।

তথ্য বলছে, প্রধান শিক্ষক নিজের পছন্দের শিক্ষক, স্টাফদের নির্ধারিত শিফট ও অফিস সময়ের মধ্যে দায়িত্ব পালনের অতিরিক্ত টাকা দিচ্ছেন প্রতিমাসে। সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. হালিমুজ্জামানকে ৫৬ হাজার ৪০০ টাকা, ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিনকে ২৭ হাজার ৬০০ টাকা, মুদ্রাক্ষরিক আনোয়ার হোসেন তালুকদারকে ১৪ হাজার ৪০০ টাকা আর অফিস সহকারি মো. আসাদুজ্জামানকে ১৪ হাজার ৪০০ টাকা শিফটিং ভাতা দিচ্ছেন মোস্তফা কামাল। শুধু তাই নয়, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রধান শিক্ষকসহ উল্লেখিত শিক্ষক কর্মচারীদের দেয়া হয়েছে বিধি বহির্ভূতভাবে শিফটিং ভাতা। এছাড়াও সম্মানীর নামে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যানসহ অন্যদের লাখ লাখ টাকা দেয়ার তথ্য উঠে এসেছে মাউশির অডিট রিপোর্টে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা সমুদয় টাকা ফেরত দেয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিবেদনে। এদিকে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ইন্টারনাল অডিট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনেও প্রতিষ্ঠানটিতে ভয়াবহ আর্থিক অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থবছরের কার্যক্রমের উপর পরিচালিত নিরীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বার্ষিক বেতনের ৫লাখ ৩০ হাজার ২৯৮ টাকা ব্যাংকে জমা হয়নি, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৭০ টাকা ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এই খাতের আয় থেকে ব্যাংকে জমা হয়নি ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮৯১ টাকা। সব মিলিয়ে শুধু শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বেতনের ২৩ লাখ ৬৬১ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। প্রতিবদনে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই টাকা স্কুলের তহবিলে জমা দেয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালে। ফরিদাবে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় ৮০ জন। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক অনিয়ম, অযোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, এমপিও কেলেঙ্কারীসহ নানা অনিয়মের কারণে সুনাম হারাচ্ছে। আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ায় সচেতন অভিভাবকরা সন্তানদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। এসবের পেছনে প্রতিষ্ঠান প্রধান মোস্তফা কামাল ও ব্যবস্থাপনা কমিটির অধিকাংশ সদস্য দায়ি বলে অভিযোগ শিক্ষক ও অভিভাবকদের। জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য গোপন করে ৬ষ্ঠ গ্রেডে বেতন ভাতা ভোগ করছেন মোস্তফা কামাল। নিয়ম অনুযায়ী, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন ভাতা ৭ম গ্রেডে প্রদানের বিধান রয়েছে। কিন্ত তিনি বেতন ভাতা নিচ্ছেন ৬ষ্ঠ গ্রেডে। জনবল কাঠামোর বিধান অনুযায়ী এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক কোনভাবেই একই স্কেলভুক্ত সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতনের বেশি নিতে পারবেন না। কিন্তু মোস্তফা কামাল এসব নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। এছাড়াও একজন আইসিটি শিক্ষককে গণিত বিষয়ের উপজেলা মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণে পাঠানোর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। 

এই কাজও করেছেন প্রধান শিক্ষক। অবশ্য বাড়তি বেতন নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও প্রধান শিক্ষক এর পেছনে কমিটির উদারতা দেখছেন। সংবাদ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, আমাকে ম্যানেজিং কমিটি বাড়তি বেতন দেয় বলে নেই। এখানে আমার কোনো দায় নেই। কমিটির সঙ্গে কথা বলেন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষকদের এমপিও কেন্দ্রিক কিছু জটিলতা আছে। কারও কারও নিয়োগেও ঝামেলা আছে। কিন্তু আমি এসবের সঙ্গে জড়িত না। নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়,  বিদ্যালয়ের গ্রাচ্যুইটি ও কল্যাণ তহবিল হতে অননুমোদিত ঋণ দেয়ার অবিশ্বাস্য এক ঘটনাও ঘটেছে এই প্রতিষ্ঠানটিতে। আইন অনুযায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন সময়েই লগ্নি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারেন না। কিন্তু এখানে এই নিয়ম মানার যেন বালাই নেই। ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়া ২০১৮ সালের জুলাই মাসে স্কুলের গ্রাচ্যুইটি তহবিল হতে ৩ জন শিক্ষককে ৩৯ লাখ, কল্যাণ তহবিল হতে ২ জন শিক্ষক ও ১ জন কর্মচারীকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল ৬ লাখ, সহকারি শিক্ষক শিশির কুমার দাস ১৭ লাখ, সহকারি শিক্ষক গোলাম রাব্বানী ১৫ লাখ, সহকারি শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায়ের অনুকূলে ১৪ লাখ, সহকারি শিক্ষক জিনাত রেহেনার অনুকূলে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সভাপতি ইস্কান্দার মিয়া ও প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালের যৌথ স্বাক্ষরে এই ঋণ দেয়ার সত্যতা মিলেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম না মানার তথ্য উঠে এসেছে। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে পরীক্ষার খাতায় অতিরিক্ত নম্বরও দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর বলছে, ২০১৪ সালে আমাতুর রহমান তাসনীম নামের একজন শিক্ষক পরীক্ষায় ২৫ পেলেও তাকে অতিরিক্ত ৪ নম্বর দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়। কানিজ আসিয়া ২৮ পেলেও অতিরিক্ত ৪ নম্বর দিয়ে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। লায়লা সিদ্দিকার প্রকৃত নম্বর ২৯। 

কিন্তু তাকেও অতিরিক্ত ৬ নম্বর দিয়ে নির্বাচিত করা হয়। এমন অনিয়ম ২০১৫ সালেও ঘটেছে প্রতিষ্ঠানটিতে। সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ফারজানা ফেরদৌসীকে ৪৫ পেলেও অতিরিক্ত দেয়া হয় ৫ নম্বর। আরেক শিক্ষক নাজমা আক্তার পরীক্ষায় ৩৯ পেলেও তাকে অতিরিক্ত দেয়া ১২ নম্বর। প্রতিবেদনে নাজমা আক্তারের ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষায় ২ নং প্রশ্নের অংকের উত্তর ভুল হওয়া সত্ত্বেও ৫ এর স্থলে ৪ নম্বর দেয়া হয়। এছাড়াও আইন লঙ্ঘন করে নূর-ই-সানজিদা আফরিন ও মো: কামরুজ্জামান নামে দুজন ও এনটিআরসিএর নিবন্ধনহীন ৭ জন শিক্ষককে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ভুল তথ্য দিয়ে অবৈধভাবে ছয় শিক্ষককে এমপিও করানোর অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা হলেন- শেখ মিনু পারভীন (ইনডেক্স নং-এন৫৬৮৩৭৩১৬), এস এম মেহজাবীন আক্তার (ইনডেক্স নং-এন ৫৬৮৩৭৩১৩), বায়েজিদ হোসেন (ইনডেক্স নং-এন৫৬৮৩৭৩১২), পল্লব হোসেন (ইনডেক্স নং-এন৫৬৮৩৭৩১৪), রুবিনা আক্তার (ইনডেক্স নং-এন৫৬৮৩৭৩১৫) এবং হাবিবুর রহমান (ইনডেক্স নং-এন১১২০৯৬৯)। অবশ্য এক রিটের প্রেক্ষিতে উ”চ আদালত থেকে এই ছয় শিক্ষকের এমপিও বাতিলে করার জন্য বলা হয়েছে। মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২)  এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী সংবাদ প্রতিদিনকে ছয়জনের এমপিও বাতিলের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালকে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন মাউশির ঢাকা অঞ্চলের সাঁট-লিপিকার  রাবেয়া সুলতানা। ছয়জন শিক্ষকের বিপরীতে ১ লাখ টাকা করে মোট ছয় লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালকের পিএ হিসেবে কাজ করছেন। অভিযোগ আছে, এক যুগ ধরে রাবেয়া সুলতানা একই জায়গায় কর্মরত থাকার সুযোগে এমন অনিয়ম করে যাচ্ছেন। আর্থিক অনিয়ম করে বিপুল সম্পদের মালিকের হয়েছেন তিনি।  অবশ্য ঘুষ নেয়া ও অবৈধ সম্পদের বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করে তিনি বলেন, শুধু আমি একা না, এখানে আরও অনেকে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মেজবাউল হককে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য নেই বলে জানান। এমপিওর বিষয়ে জানতে চাইলেই তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন। আর বর্তমান সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, ভুয়া এমপিও, নিবন্ধন ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ আমার আমলে হয়নি। অনিয়মের কারণে প্রধান শিক্ষককে চিঠি দেয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।







আরও খবর


 সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম হিন্দি সিনেমার প্রিমিয়ারে ঢাকাই জামদানিতে জয়া
তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হাথুরুসিংহে
শিগগির ভারত থেকে আসছে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ
গাজার অর্ধেক জনগোষ্ঠীই এখন অভুক্ত: জাতিসংঘ
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি : শিক্ষাবোর্ড
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

বেস্ট ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাওয়ার্ড পেলেন নাজমী জান্নাত
নিউ ইয়র্কে শো টাইম মিউজিক আয়োজিত এনআরবি অ্যাওয়ার্ডের ১৩তম জমকালো আসর
পাখির গানে সুরের রাজকুমারী আঁখি
চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে নানা আয়োজন
স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের বর্ণিল অভিষেক
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com