প্রকাশ: রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৪৩ PM
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। তাদের নির্বিচার হামলায় এরই মধ্যে প্রায় ১১ হাজার লোক নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশ নারী ও শিশু। অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। অপরিচিত লাশগুলো নিয়ে কী করা হয়, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল রয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
তাতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের অনেককে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই দাফন করা হয়েছে। সাধারণত প্রচণ্ড হামলায় চেহারার মারাত্মক বিকৃতির কারণেই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একসঙ্গে পরিবারের সব সদস্য নিহত হওয়ার কারণেও পরিচয় বের করা সম্ভব হয় না, ফলে তাদেরকেও অজ্ঞাত হিসেবেই দাফন করা হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার এমন ১৫ জনকে উত্তর গাজার গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
আবার কোনো নিহতের চিহ্নই থাকে না, তাই পরিচয় জানার সুযোগ থাকে না বলে আলজাজিরাকে জানিয়েছেন গাজার মর্গের এক দায়িত্বশীল ব্যক্তি। তিনি বলেন, শরীরের ওসব ধ্বংসাবশেষগুলোকে সাধারণত নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়। পরে মরদেহের বিশেষ কোনো চিহ্ন বা কাপড়ের অংশ রেখে তা দাফন করা হয়। তবে ইদানীং বেশির ভাগ মরদেহের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটছে। ফলে যেসব মরদেহের সুস্পষ্ট চিহ্ন থাকে, তাদের ছবি তুলে রাখা হয় যেন ভবিষ্যতে তার পরিচয় মেলে। আর সুস্পষ্ট কোনো চিহ্ন না থাকলে মরদেহে বিশেষ প্রতীক লাগানো হয় এবং তা সংরক্ষণাগারে রাখা হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামা মারুফ বলেন, ‘ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে নিহত অনেকের মরদেহের পরিচয় জানা যায়নি। আমরা তাদের গণকবরে দাফন করেছি। এই পৃথিবীতে তাদের পরিচয় জানা না গেলেও জান্নাতে তারা সবার কাছে পরিচিত থাকবেন।’ উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ জন শিশু। গাজায় নিহত নারীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৭ জন।