প্রকাশ: রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩, ৬:৪৯ PM
কোনোভাবেই দেশে ডলার সংকট কাটছে না। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে মার্কিন মুদ্রা সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ নিম্নমুখী হয়েছে। এতে দিন দিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বরেও প্রবাসী আয় কমেছে। গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। বিগত ৪১ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এরপর আলোচ্য সেপ্টেম্বরের আগে আর কোনও মাসে এত কম রেমিট্যান্স আসেনি।
রোববার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। গত বছরের একই মাসে যা ছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১৮ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে।
এর আগে গত জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগস্টে যা ছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। গত জুনে রেকর্ড ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় আসে। একক মাস হিসেবে তা ছিল প্রায় ৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি। ফলে কিছু লাভের আশায় হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাহ কমেছে। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রেমিট্যান্স। যার হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর অনেকটাই রিজার্ভের উত্থান-পতন নির্ভর করে।