প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:১৪ পিএম |
গত কয়েক মাসে যেসকল সবজির দাম বেড়েছে, তা কমার নাম নেই। বরং ক্রেতার মনে নতুন করে দাম বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। দিন যত এগোচ্ছে, বাজার দরের ওপর ক্রেতাদের ক্ষোভ যেন ততই বাড়ছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। কোনো কোনো সবজি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। সবজি কিনতে আসা ক্রেতাদের যেন ক্ষোভের কমতি নেই। চড়া দামের কারণ চিহ্নিত করতে না পারা ও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের সমালোচনাও করেছেন অনেক ক্রেতা। নগরীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ বাজারে শুক্রবার সকালে সবজি কিনতে এসেছিলেন মোহাম্মদ সেলিম। গণমাধ্যমকে সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এক কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত! উত্তরবঙ্গে কত? গাড়ি ভাড়া এত বেশি? দোকানদাররা আমাদের বুঝায় দাম বেশি। কি বুঝায়?
আব্দুল আউয়াল নামের আরেকজন ক্রেতা গণমাধ্যমকে বলেন, কৃষক সবজি বিক্রি করতে পারে না। দাম পায় না। বাধ্য হয়ে ফেলে দেয়। আর আমাদের এখানে চড়া দামে কিনতে হয়। এই ক্রেতার অভিযোগ, কোনো পণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বাজার সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিগোচর হয় না। এসময় বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে, একই দামে বিক্রি হচ্ছে ধুন্দল, বরবটি ও চিচিঙ্গা। ঢেঁড়সের কেজি ৬০ টাকা।
প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। লাউয়ের পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা। জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কলার হালি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনিয়া পাতার কেজি ৪০০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। মুদি বাজারে প্রতি কেজি আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের বাঁধাকপি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়াও মুলা ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শিম পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।