প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৩:১৮ পিএম |
ময়মনসিংহ জেলা আ. লীগের কমিটিতে রাজাকারের সন্তানদের নাম থাকায়, গফরগাঁও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন আজ ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গফরগাঁও প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
তালিকাভুক্ত ৭১ এর ঘাতক ও রাজাকারের সন্তান ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার বুলবুল, এডভোকেট কায়সার আহমেদ ও আবুল হোসেন দীপু কে(মুক্তিযোদ্ধা দুলাল হত্যাকারী) ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সহ- সভাপতি পদ সহ ভিন্ন ভিন্ন পদে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানের নাম ঘোষণা করায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটি ঘোষণার পর রাজাকারের সন্তানদের নাম থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ প্রতিবাদ ও ক্ষোভ সৃস্টি হয়। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে এসব রাজাকার সন্তানদের নাম পরিবর্তন করে পুনরায় ত্যাগী নেতাদের নাম ঘোষনার কথা বলেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর প্রতিবাদলিপি পাঠাবেন বলে মুক্তিযোদ্ধা নেতা উল্লেখ করেন ।
মুক্তিযোদ্ধাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার নবগঠিত কমিটিতে ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার বুলবুল,কায়সার আহমেদ ও আবুল হোসেন দীপুকে ভিন্ন ভিন্ন পদে রাখা হয়। তাদের তিনজনেরই বাবা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ছিল মারাত্মকভাবে বিতর্কিত।
তারা তিনজনই যুদ্ধাপরাধীর সন্তান। ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার বুলবুল, কায়সার আহমেদ ও আবুল হোসেন দীপুর বাবা ১৯৭১ সালে লুটপাট, হত্যা, অগ্নিসংযোগের কারণে যুদ্ধাপরাধ মামলায় তালিকাভুক্ত আসামি ছিলেন।
১৯৭১ সালে চরআলগী ইউনিয়নের সহ বেশ কয়টি ইউনিয়ন মানুষ হত্যা এবং বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট, হত্যা, অগ্নিসংযোগ করেন। রাজাকারের সন্তানদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের পদ দেওয়া অবিশ্বাস্য বলে মনে করেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে এদের পদে বসানোর দাবি করেছেন।বাস্তবায়ন না হলে বড় আন্দোলনের ডাক দিবেন বলে হুশিয়ারী জানান।
প্রতিবাদপত্রে স্বাক্ষর করেন ৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধা। বক্তব্য রাখেন গফরগাঁও উপজেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মফিজ উদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন মনি,আবুল হাসেম,নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সহ শত-শত মানুষ।