প্রকাশ: সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ২:১৫ PM
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। গেল ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে এ আবেদন করেন। আবেদনে খালেদা জিয়ার সার্বিক শারীরিক অবস্থা তুলে ধরা হয়।
আবেদনটি পাঠকের উদ্দেশে হুবহু তুলে ধরা হলো:-
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী আদেশে সপ্তমবারের মতো দুটি শর্ত সাপেক্ষে ০৬ (ছয়) মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয়। তার মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল বেগম জিয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৫৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০২১ সালের ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে রিলিজ পান। কিন্তু পুনরায় তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় সে বছরের ১৩ সেপ্টম্বর আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৮০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২০২২ সালের ১ এপ্রিল বাসায় ফিরে আসেন। পরবর্তীতে আরও সাতবার তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হয়।
বর্তমানে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাসায় অবস্থান করলেও অধিকতর উন্নত চিকিৎসার অভাবে এবং করোনা পরবর্তী বিরূপ প্রভাবে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি; উপরন্ত দিনের পর দিন শারিরীক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। উদ্বেগের বিষয় ইতোমধ্যে তিনি ‘লিভার সিরোসিস’ এবং ‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন; যার আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তিনি পূর্বের মতোই উঠে দাঁড়াতে পারেন না, এমনকি কারো সাহায্য ছাড়া ওয়াশরুম কিংবা শয়নকক্ষের বাইরেও যেতে পারেন না। বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে ‘advance medical centre’ এ চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায়, সকল শর্ত শিথিল পূর্বক তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং বিদেশে গমনের অনুমতি প্রদানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।