প্রকাশ: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:২১ PM
নরসিংদীর বাজারগুলোতে সরকার নির্ধারিত দামে মিলছেনা আলু, পিঁয়াজ ও ডিম। এখানকার বাজারগুলোতে এখনও প্রভাব পড়েনি সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের। তাই সরকারের নতুন নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম। ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খুচরা বাজারে প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু কে শুনে কার কথা। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে পূর্বের দামেই কিনতে বাধ্য হচ্ছে ক্রেতারা। নরসিংদী বড়বাজারসহ অলিগলির দোকানগুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফার্মের মুরগির ডিম কুঁড়ি ২৫০-২৬০ টাকা অর্থাৎ প্রতিপিস ডিম ১৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আলু প্রতি কেজি ৪৮-৫০ টাকা, দেশি পিঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকা এবং ভারতের আমদানি করা পিঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আলু, পিঁয়াজ ও ডিমের দাম সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে বিক্রি করছেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতারা জানান, বেশি দামে তাদের পণ্য কেনা। তাই পূর্বের দামে বিক্রি করছেন তারা। ডিম বিক্রেতা জানান, আমি ফার্মের থেকে ১২,০০০/= টাকা দরে একহাজার ডিম কিনে এনেছি। তারপর আবার কেরিং খরচ। এখন বলেন আমরা কত টাকা বিক্রি করবো। বাজার নয় ফার্মগুলোতে অভিযান পরিচালনা করলে ডিমের দাম কমে আসবে বলে ওই বিক্রেতা জানান। নরসিংদীর আশেপাশে ছোট-বড় বাজারের দোকানে রকমভেদে দেশি পিঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকা ও ভারতীয় আমদানি করা পিঁয়াজ ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বড়বাজারের এক ক্রেতা এক কেজি দেশি পিঁয়াজ ৮০ টাকায় ও আলু ৪৮ টাকায় কেনেন।
সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের বাড়তি দামে কেন কিনলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের তোয়াক্কা করেনা দোকানীরা। সারা দেশ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। বাজার মনিটরিংও করতে হবে। নরসিংদীর বড়বাজারে পাইকারি আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪২ টাকা, দেশি পিয়াজ ৭০ টাকা এবং ভারতীয় পিঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায়। বড়বাজারের পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, আলু কোল্ডস্টোরেজ থেকে দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে। তাহলে আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারবো। পাশাপাশি পরিবহন ও দোকান ভাড়া এবং অনেক সময় পচা ও ছোট আলু থাকে সেটা কম দামে বিক্রি করতে হয়। তাই সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব না।