মৌলভীবাজারে বর্নাঢ্য র্যালি ও সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
২০ আগস্ট বিকেলে এই উপলক্ষে নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতারা জেলা শহরের সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র:) পৌর ঈদগাহ প্রাঙ্গণ থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জি.এম.এ মুক্তাদির রাজু'র নেতৃত্বে এক বিশাল বর্নাঢ্য র্যালি বের হয়। এতে কয়েক হাজার নেতা কর্মী অংশ নেন। দলীয় নেতাকর্মীরা হলুদ টুপি মাথায় পড়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া'র মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবি সম্বলিত ফেস্টুন বানিয়ে র্যালিতে অংশ নেন। নেতাকর্মীরা এ সময় সরকার বিরোধী নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো এলাকা।
র্যালিটি শাহ মোস্তফা সড়ক হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পশ্চিম বাজার মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটির সদস্য সচিব আহমেদ আহাদের পরিচালনায় ও সংগঠনের আহ্বায়ক জি.এম.এ মুক্তাদির রাজু'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আরিফ হাওলাদার। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্বল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা, পৌর ও বিভিন্ন উপজেলা ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আরিফ হাওলাদার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে দলের প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে
স্মরণ করে বলেন 'তারেক রহমান আমাদের ভাই এবং বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মা। তিনি আজ কারাবন্দি। তাই ভাই আর মাকে মুক্তির জন্য মৌলভীবাজারের জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির নেতৃত্বে এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে আমাদের যেমন মনের অবস্থা ভালো না তেমনি আওয়ামী লীগের অবস্থাও ভালো না। আওয়ামী লীগ এবং হাসিনা সরকার উভয়ই লাইফ সাপোর্টে আছে। কোনো লাইফ সাপোর্টের রোগী ভাল থাকতে পারে না। কাজেই জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মধ্যে আমাদের অঙ্গীকার আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান এক দফার যে দাবি দিয়েছেন সেই এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এই লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গনতন্ত্র, ভোটাধিকার ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবে।
জাকির হোসেন উজ্জ্বল বলেন 'এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের দ্বার প্রান্তে। তিনি বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাবিহীন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বিজয় উল্লাস করবে। দুটি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। সেটা হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর আর শেখ হাসিনার পতন। তিনি আরো বলেন, যতই আনন্দ বাজার, ডয়চেভেলে দিয়ে লিখান না কেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন কেউ ঠেকাতে পারবেন না। পতন সুনিশ্চিত। জি.এম.এ মুক্তাদির রাজু বলেন, আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে প্রতিটি নেতাকর্মীকে শপথ নিতে হবে। তীব্র থেকে তীব্রতর গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে রাজপথে প্রস্তুত থাকতে হবে।
র্যালি শুরুর আগে জেলা, পৌর ও বিভিন্ন উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে ঈদগাহর সামনে জড়ো হন। এ দিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।