প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩, ৭:২৭ পিএম |
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রকৌশলীর পেটালেন এক কর্মচারীকে। গালাগাল, মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে । এঘটনায় উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে।অভিযোগে জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে সারা দেশে পুকুর ও খাল খনন প্রকল্পের দায়িত্বরত কার্য সহকারী আল আমিনকে উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন টেন্ডার যাচাই বাছাইয়ের কাজ করতে বলেন। আল আমিন উক্ত কাজ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকায় কিভাবে কাজ করবে তা উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনের কাছে জানতে চায়। এসময় তিনি কম্পিউটার অপারেটর নাজির আহমেদের কাছ থেকে জেনে নিতে বলেন। নাজির আহমেদ কাজ সম্পর্কে বুজতে না পারায় তাঁরা দুজনে মিলে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে কাজটি কিভাবে করবে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে প্রকৌশলী জাকির হোসেন আল আমিন কে থাপ্পর মারতে মারতে কক্ষ থেকে বের করে দেয়।
এসময় প্রকৌশলী জাকির হোসেন কর্মচারীদের হাজিরা খাতা থেকে আল আমিনের নাম ও স্বাক্ষর কেটে দিয়ে তাঁকে অফিসে আসতে নিষেধ করেন।
এঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা ক্ষুব্দ হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদলের নিকট অভিযোগ করে এসময় ৯ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
আইপিসিপি প্রকল্পের কার্য সহকারী আল আমিন বলেন, স্যার টেন্ডারের যাচাই বাছাইয়ের কাজ করতে বললে আমি তা বুজতে না পারায় স্যারকে বুজিয়ে দেওয়ার জন্য বললে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ মারধর করে।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর নাজির আহমেদ বলেন, আল আমিন কে মারধর করা স্যারের ঠিক হয়নি।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, সে আউট সোর্সিংয়ের কর্মচারী। ঠিক মত কাজ করে না। মারধর করার কথা সরাসরি অস্বিকার করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবিদুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল বলেন, আল আমিন মৌখিক ভাবে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।