শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫ আশ্বিন ১৪৩১
 
শিরোনাম: বিদায় ২০২৩ স্বাগত ২০২৪        নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতবে ৩ কোটি ৮১ লাখ শিক্ষার্থী        জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বিএনপির চিঠি        বিএনপির নেতাকর্মীরা এবার নৌকায় ভোট দেবে : তথ্যমন্ত্রী        ড. মঈন খানের সঙ্গে এনডিআই-আইআরআই পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক        ‘অসুস্থ’ রিজভীকে খুঁজছে ডিবি, শিগগিরই গ্রেপ্তার        সবার আগে নিউজিল্যান্ড ও কিরিবাতিতে নববর্ষের উল্লাস শুরু       


বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই
মুহাম্মদ ফারুক খান
প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩, ৪:৫৫ PM

বাঙালি জাতিকে শাসন ও শোষণের জাঁতাকল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আন্দোলন, সংগ্রাম এবং যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন অনেকে। অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করেছেন বাঙালি জাতির অনেক বীর সন্তান। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হলেও বাঙালির কোনো লাভ হয়নি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১- দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের পথ ধরে একাত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা অর্জন করি হাজার বছরের কাক্সিক্ষত ‘স্বাধীনতা’।

বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ইতিহাস, স্বাধীনতার স্থপতি, স্বাধীনতার ঘোষক ইত্যাদি বিষয় ও ঘটনাগুলো ঐতিহাসিক স্বীকৃত সত্য। এ স্বাধীনতা সহজে এবং হঠাৎ করে আসেনি। স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে যে সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে তা শুধু আমাদের দেশবাসীরই জানা নয়, বিশ্ববাসীও তা ভালোভাবে জানেন। ২০০১ সালে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, স্বাধীনতার ঘোষক, জাতির জনক ইত্যাদি বিষয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দেয়। ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা চালায়, নতুন প্রজন্মের কাছে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরার অপপ্রয়াসও চলে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এক দিনে বা শুধু বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের ঘোষণার মাধ্যমেই আসেনি। ’৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট গঠন এবং নির্বাচনে বিজয়, ’৫৮-এর ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬২-এর গণবিরোধী হামিদুর রহমানের শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণআন্দোলন এবং ’৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হয়েছে। সবশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কণ্টক মুক্ত হয়েছে। এ দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রামে আমাদের নেতৃত্বে ছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক নেতা। বঙ্গবন্ধুই এ সংগ্রামে সবচেয়ে ফলপ্রসূ ভূমিকা নিয়েছিলেন। বিশেষ করে ১৯৬০-১৯৭০, এ ১০ বছরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই এ সংগ্রাম তার স্বাধীনতার ইষ্পিত লক্ষ্যে পৌঁছেছিল। একাত্তরের ২৫ মার্চে তৎকালীন পাকিস্তানে এমন কোনো ব্যক্তি সম্ভবত ছিলেন না, যিনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে চিনতেন না। শুধু তৎকালীন পাকিস্তান কেন, ১৯৭১-এ আমাদের উপমহাদেশসহ বিশ্বে যারা রাজনৈতিক সচেতন ছিলেন তারা সবাই বাঙালি জাতির নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকেই জানতেন। বাঙালি জাতির জন্মলগ্নেই এ জাতির জনক হিসেবে বঙ্গবন্ধুকেই সবাই চিনতেন। আজ এ বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একটি মাইলফলক। এ ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ সম্পন্ন করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধের’ ডাক দিয়েছিলেন এবং এ যুদ্ধ কীভাবে করতে হবে তার সূচারু দিকনির্দেশনাও দিয়েছিলেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষণা ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’, ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’, ‘জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু, আমি যদি হুকুম দিতে নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দিবে’, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, আরও রক্ত দিব’ এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ”। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর এ নির্দেশাবলি ৭ মার্চ ’৭১-এর পর থেকেই সব বাঙালির হৃদয়ে ধ্বনিত হয়েছে, আজও এবং যুগ যুগ ধরে প্রকৃত বাঙালির হৃদয়ে ধ্বনিত হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ১৮ দিন আগেই বাঙালি জাতিকে এবং এ জাতির সব পর্যায়ের নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা, এ যুদ্ধের রাজনৈতিক তাৎপর্য এবং সামরিকভাবে এ যুদ্ধ কীভাবে করতে হবে অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত এবং রণকৌশলসহ সব দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে তিনি বুঝেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি হতে পরিষ্কার নির্দেশনার দরকার এবং ৭ মার্চের পরে ঘটনা এত দ্রুত এগোবে যে, পরে এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়ার উপযুক্ত সময় নাও পাওয়া যেতে পারে। জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণের পর পরই ধর্ম-বর্ণ-দল-মত-নির্বিশেষে বাঙালি জাতি একতাবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করেছিল। পাকিস্তানিদের সঙ্গে অসহযোগসহ সব সরকারি কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই বাংলাদেশ তখন চলত। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি পূর্ব পাকিস্তানে নিযুক্ত গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানকে শপথ না করানোর মতো সাহস দেখাতে পেরেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৫-২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে অর্থাৎ রাত ১২টা ২০ মিনিটে ইপিআরের (আজকের বিজিবি) বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে ‘স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন যা আজ ঐতিহাসিক সত্য বলে প্রমাণিত। এর সাক্ষ্য প্রমাণ এখনো অটুট (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র তৃতীয় খণ্ড)। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল নিম্নরূপ :

“সম্ভবত এটাই আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছি তোমরা যে যেখানেই আছ এবং যাই তোমাদের হাতে আছে তার দ্বারাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দখলদার সৈন্য বাহিনীকে প্রতিরোধ করবে। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈনিকটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।” ২৬ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা অনেকেই শুনেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা শুনেছিলেন তৎকালীন ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪ পদাতিক ডিভিশনে কর্মরত আইএসপিআরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালেক। তিনি তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ের ৭৫ পৃষ্ঠায় এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা ছাড়াও বঙ্গবন্ধু ২৫-২৬ মার্চ রাতেই টেলিফোনের মাধ্যমে আরও একটি ঘোষণা বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় এবং বিভিন্ন সংস্থায় প্রেরণের ব্যবস্থা করেছিলেন। ঘোষণাটি নিম্নরূপ ছিল :

“পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিতভাবে পিলখানা ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করেছে এবং শহরের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে, আমি বিশ্বের জাতিসমূহের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য শক্রদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আপনাদের কাছে আমার আবেদন ও আদেশ দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান। আপনাদের পাশে এ যুদ্ধ করার জন্য পুলিশ, ইপিআর, বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও আনসারদের সাহায্য চান। কোনো আপস নেই। জয় আমাদের হবেই। পবিত্র মাতৃভূমি থেকে শেষ শত্রুকে বিতাড়িত করুন। সব আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং অন্যান্য দেশপ্রেমিক প্রিয় লোকদের কাছে এ সংবাদ পৌঁছে দিন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন। জয় বাংলা।” এ ঘোষণা অনুযায়ীই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামরিক নেতৃবৃন্দ, ইপিআর, পুলিশ ও আনসার নেতৃবৃন্দ, ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের জনগণ ২৬ মার্চ থেকেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন।

১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান রেডিও এবং টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সে ভাষণে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পুরোপুরি দোষারোপ করে বলেছিলেন ‘শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। সে একজন দেশদ্রোহী। এবার সে শাস্তি এড়াতে পারবে না।’ ২৭ মার্চ ৭১ তারিখে লন্ডন থেকে প্রকাশিত The Daily Telegram পত্রিকার প্রথম পাতায় নতুন দিল্লি থেকে তাদের সাংবাদিক ডেভিড লোমাকের পাঠানো সংবাদের ভিত্তিতে Civil War in East Pakistan. Sheikh a traitor, says President শিরোনামে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা লিখা হয়। সুতরাং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য বঙ্গবন্ধুকেই পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট দোষারোপ করেছিলেন। এ ছাড়াও অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা নিজ কানে অথবা অন্যের মারফত শুনেছেন এবং তা তাদের বইতে, প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করেছেন।

The Times পত্রিকার ২৭ মার্চের হেড লাইন ছিল ‘Heavy fighting as Sheikh Mujibur Rahman declares E Pakistan independence’ অর্থাৎ শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করায় সেখানে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে।

Financial Times পত্রিকার ২৭ মার্চের হেড লাইন ছিল ‘Civil War after East Pakistan declare independence’ এ শিরোনামে নিচে লিখা ছিল শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা দিলে সেখানে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

The Guardian, The Daily Telegram, BBC সহ বিশ্বের প্রায় সব পত্রপত্রিকা এবং খবর মাধ্যমে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণার খবর প্রকাশিত এবং প্রচারিত হয়। সুতরাং ২৬ মার্চ ৭১-এর রাতের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুই যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন তা বিশ্ববাসীর কাছেও সত্য বলে প্রমাণিত।

বঙ্গবন্ধুর ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ সংবলিত টেলিগ্রাম পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন মাধ্যমে সে নির্দেশ বিভিন্ন বাহিনী/সংস্থা এবং সর্বস্তরের জনগণের কাছে তা পৌঁছে দেন এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। একই ধারায় ২৬ মার্চ বিকাল এবং ২৭ মার্চ সকালে চট্টগ্রামের কালুরঘাট অস্থায়ী বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। ২৭ মার্চ বিকাল এবং ২৮ মার্চ সকালে তৎকালীন ৮ম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সহঅধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমানও বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চ ৭১-এ প্রচারিত স্বাধীনতার ঘোষণার নির্দেশের আলোকে এবং চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের অনুরোধে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পুনরায় স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন যা ছিল নিম্নরূপ :

“The Government of the Sovereign State of Bangladesh on behalf of our Great Leader, the Supreme Commander of Bangladesh Sheikh Mujibur Rahman. We hereby proclaim the independence of Bangladesh and that the Government headed by Sheikh Mujibur Rahman has alreadz been formed. It is further proclaimed that Sheikh Mujibur is the sole leader of the elected representatives of SeventyFive Million People of Bangladesh, and the Government headed by him is the only legitimate government of the people of the Independent Sovereign State of Bangladesh, which is legally and constitutionally formed, and is worthy of being recognized by all the governments of the World. I therefore, appeal on behalf of our Great Leader Sheikh Mujibur Rahman to the Governments of all the democratic countries of the World, specially the Big Powers and the neighboring countries to recognize the legal government of Bangladesh and take effective steps to stop immediately the awful genocide that has been carried on by the army of occupation from Pakistan... the legally elected representatives of the majority of the people ... The guiding principle of a new state will be first neutrality, second peace and third friendship to all and enmity to none. May Allah help us. Joy Bangla.” (মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস, মেজর জেনারেল এম এস ভূঁইয়া)। মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। তিনি কোনোভাবেই স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন না। স্বাধীনতার ঘোষক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এসবই ঐতিহাসিক সত্য। সুতরাং স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।

লেখক : সংসদ-সদস্য







আরও খবর


 সর্বশেষ সংবাদ

বিদায় ২০২৩ স্বাগত ২০২৪
নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতবে ৩ কোটি ৮১ লাখ শিক্ষার্থী
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বিএনপির চিঠি
আগৈলঝাড়ায় বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণ
কালিহাতীর আফজালপুর চরে নৌকার বিশাল সভা
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

কালীগঞ্জে ২ ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা
স্বাধীনতার গান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে চান লেনিন
গাজীপুরে প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যা প্রেমিক আটক
এই প্রথম মৃত্যুবরণ কারী সকল ইপিএসকর্মী সহ প্রবাসীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল
প্রবাসী ভিআইপি ক্লাবের বিলেতে পথযাত্রা : পিঠা উৎসব ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com