প্রকাশ: রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩, ৮:৪০ PM
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। সৌদি আরবের হিসাবে ৮ জিলহজ আগামীকাল সোমবার (তথা আজ মাগরিবের পর থেকে কাল মাগরিব পর্যন্ত)। তবে ইতিমধ্যেই কাবাঘর তাওয়াফশেষে মক্কার অদূরে মিনা নগরীর উদ্দেশে রওনা শুরু করেছেন অনেকে। সেই হিসেবে হজযাত্রীদের হজের মূল কর্মযজ্ঞ আজকেই শুরু হয়েছে। আগামীকাল সোমবার তারা মিনার তাঁবুতে অবস্থান করবেন।
হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছানো এবং সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন সুন্নত। মিনায় অবস্থানের পুরোটা সময় হাজিরা নামাজ ছাড়াও তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকবেন। এখানে অবস্থানের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। অল্প সময়ও জিকির-আজকার থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
পরদিন ৯ জিলহজ ফজর নামাজ পড়ে সেখান থেকে আরাফা প্রাঙ্গণে যাবেন সবাই। মূলত ৯ জিলহজ ‘আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ’ (নাসায়ি: ৩০৪৪)। এরপর মুজদালিফা হয়ে হাজিরা আবার মিনায় ফিরবেন। সেখানে অবস্থান করে শয়তানকে কংকর মারা, কোরবানি, মাথা মুণ্ডন, তাওয়াফ এসব আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে হজের কার্যক্রম।
হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। সামর্থ্যবান মুসলিমদের অন্তত একবার তা পালন করতে হয়। প্রতিবছর বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম পবিত্র হজ পালন করতে ইহরাম পরে মক্কায় সমবেত হন। কভিড-১৯ বিধি-নিষেধের কারণে গত তিন বছর সবাই হজ পালনের সুযোগ পাননি।
এ বছরের শুরুতে বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণার পর এটিই সর্ববৃহৎ হজ। এবার ২০ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করতে মক্কায় জমায়েত হয়েছেন। এ বছর হজের খুতবা বাংলাসহ ২০টির বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হবে। এই ২০ ভাষার মধ্যে বাংলাও রয়েছে। হাজিদের উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সায়িদ। বিশ্বের ৩০ কোটির বেশি মানুষের কাছে ইসলামের মহান বাণী পৌঁছে দিতে অনুবাদ কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করছে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ। করোনার আগের বছর ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজ করেছেন। করোনা মহামারিরোধে ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে সৌদিতে বসবাসরত ১০ হাজার ও ২০২১ সালে ৬০ হাজার লোক হজ পালন করেন। ২০২২ সালে করোনবিধি মেনে বিশ্বের প্রায় ১০ লাখ লোক হজ পালন করেন।