প্রকাশ: বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩, ২:০১ পিএম |
২০২২ কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেদের ৩৬ বছরের শিরোপার আক্ষেপ ঘুচিয়েছে আর্জেন্টিনা। সেই সাথে ফুরিয়েছে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতাও। এ আনন্দের রেশ না কাটতেই অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম শিরোপার লক্ষ্যে লড়াই করছে মেসি-ডি মারিয়াদের উত্তরসূরীরা। উজবেকিস্তানের সাথে ২-১ গোলে জয়ের পর মঙ্গলবার রাতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গুয়াতেমালার সাথে খেলতে নামে তারা।
প্রথম ম্যাচে উজবেকদের সাথে দুর্দান্ত জয়ে উজ্জীবিত আর্জেন্টাইন যুবারা এ ম্যাচেও শুরু থেকেই দারুণ খেলে। হাভিয়ের ম্যাশ্চেরানোর দল শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেললেও প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। সুযোগ হারালেও প্রথম গোলের দেখা পেতে দেরি হয়নি জুনিয়র আলবিসেলেস্তাদের। ম্যাচের ১৭ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে থেকে আলেহো ভেলিজের হেড করা বল ঠেকাতে পারেনি উজবেক গোল কিপার। হুয়ান গাতোর ক্রস থেকে গোলটি করেন ভেলিজ। আর্জেন্টিনা ১ গোলে লিড পাবার পর বিরতিতে যাবার আগ পর্যন্ত দুই দলই কিছু সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ১-০ স্কোরলাইনে দ্বিতীয়ার্ধে গড়ায় ম্যাচ।
বিরতির পর চার মিনিটের মাথায় উজবেকদের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার হুয়ান গাতো, তবে গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হন তিনি। আর্জেন্টিনার রক্ষণে তেমন কোনো চিড় ধরাতে না পারা উজবেকিস্তান দশ জনের দলে পরিণত হয় ম্যাচের ৫৮ মিনিটে। প্রথমার্ধে একবার হলুদ কার্ড পাওয়া উজবেক ফুটবলার কার্লোস সান্তোস দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখায় লাল কার্ডে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এরপরই যেনো খেলার গতি বাড়ায় আর্জেন্টাইন যুবারা, পেয়ে যায় গোলের দেখাও। বদলি নামা লুকা রোমেরো ৬৫ মিনিটে বা পায়ের শটে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর ম্যাচের ৮২ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা আরও কয়েকবার গোল করার সুযোগ তৈরি করতে পারলেও আক্রমণে যেতে ব্যর্থ হয় গুয়াতেমালা।
৮২ মিনিটে আর্জেন্টাইন ফুটবলার টমাস আভিলেস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওয়ায় দশ জনের নিয়েই বাকি সময়টুকু খেলতে হয় জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা আলবিসেলেস্তাদের। তবে একজন কম নিয়েও তৃতীয় গোল করতে বেগ পেতে হয়নি মেসি-ডি মারিয়ার উত্তরসূরিদের। আর তাদের হয়ে এ গোলটি করেন ম্যাক্সিমো প্যারোনে। শেষ পর্যন্ত গুয়াতেমালা কোনো গোল না পাওয়ায় ৩-০ গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
যুব বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে দুই জয় পেয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছে আর্জেন্টনার। এর আগে ছয় বার এ টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ী যুবারা এবার ঘরের মাটিতে সপ্তম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আছেন।