শিরোনাম: |
হাতিরঝিল চক্রাকার বাস সার্ভিসকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() রোববার (২১ মে) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, দুই ধরনের বাস রয়েছে হাতিরঝিলে। ৩২ সিটের ৮টি বাস এবং ২২ সিটের ৬টি বাস। সিটগুলো রাউন্ড সিস্টেম। গোলাকার হয়ে বাসের ভেতরে বসেন যাত্রীরা। এতে খোলামেলা পরিবেশ পাওয়া যায়। চক্রাকার বাস সার্ভিসের স্টপেজ রয়েছে, বউবাজার, কুনিপাড়া, শুটিং ক্লাব, মেরুল বাড্ডা, রামপুরা, মহানগর প্রজেক্ট ও মধুবাগ। সকাল ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বাসগুলো চলাচল করে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করে। ৫ থেকে ৭ মিনিট অন্তর বাসগুলো স্টপেজ ছেড়ে যায়। সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫ টাকা। আর পুরো প্রকল্প এলাকা ঘুরে আসতে খরচ হয় ৪০ টাকা। এই বাসরুটের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। শুরু থেকে এইচআর ট্রান্সপোর্ট হাতিরঝিল চক্রাকার বাস সার্ভিস পরিচালনা করছে। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রচার) আতিয়া সুলতানা জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কর্তৃক ৪ জন অভিযোগকারী অভিযোগ করে। তাদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯, অনুযায়ী ধার্যকৃত ভাড়ার বেশি ভাড়া আদায়ের অপরাধে এইচ আর ট্রান্সপোর্ট (হাতিরঝিল চক্রাকার বাস সার্ভিস)’কে ৪০ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য, হাতিরঝিল প্রকল্পটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের অক্টোবরে হাতিরঝিল প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। প্রকল্প প্রক্রিয়ার শুরু থেকে হাতিরঝিলের ভেতরে ও বাইরে বাস ঢুকতে না দেওয়ার পরামর্শ ছিল। ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর হাতিরঝিল চক্রাকার বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। চারটি বাস দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে চলাচল করছে ১৪টি বাস। বিকল্প হিসেবে আরও ৬টি প্রস্তুত রাখা হয়।
|