শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ ১১ চৈত্র ১৪২৯
 
শিরোনাম: অতীতে কখনোই রমজানে আন্দোলনের ঘোষণা দেখিনি : তথ্যমন্ত্রী        ২৪ ঘণ্টার মাথায় কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনল বিএনপি        মোদি আমার বক্তৃতা নিয়ে ভীত, তাই সংসদ সদস্য পদ খারিজ করেছে : রাহুল        বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি : কাদের        তারিকের গোলে সিশেলসকে হারাল বাংলাদেশ        গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস       


প্রতিকূলতায় হাল ছাড়েননি গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩, ৫:৪৭ পিএম |

সরকারি সংস্থা হিসেবে গণপূর্ত পারি দিয়েছে দীর্ঘ পথ। স্বাধীনতার ২৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় গণপূর্ত। স্বাধিন বাংলাদেশের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন সংস্থাটি সরাসরি জাতির পিতার তত্বাবধায়নেও কাজ করছে। ৮০ দশকের শুরু থেকে ব্যবসায়ীরা যখন রাজনীতিতে তাদের ব্যবসায়ের মেলবন্ধনের সূত্রমেলাতে ব্যস্ত তখন থেকেই গণপূর্ত ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে ধূর্তদের নজরে পরে। 
ধারাবাহিক ভাবে ৮০ দশকের পর থেকে ঠিকাদারদের অপেশাদার ও পেশি শক্তি ব্যবহার করার একটা প্রচলন লক্ষ করা যেত এবং সেই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ নাম জিকে শামিম। ৮০ ও ৯০ দশকে অস্ত্র, টেন্ডার, মারামারি, খুনের সংবাদের সাথে যুক্ত থাকত গণপূর্তের নাম । 

এমন ঘটেছে অনেক আমলারাও এই সংস্থাটির সাথে যুক্ত হতে শঙ্কা প্রকাশ করতেন। 
কাঠামোর বাইরের যে রাজনীতি বা কাজের দেনদরবার তার সাথে বিন্দু মাত্র সম্পর্ক না থাকলেও অন্য সকল সরকারি সংস্থা, সিভিল স্যোসাইটির কাছে ইমেজ সংকটে পরে দেশের উন্নয়নের অন্যতম ভূমিকা রাখা গণপূর্ত অধিদপ্তর। 
এমনকি মাঝে মধ্যে বাইরের ব্যবসায়ীদের চক্ষূশূল হয়েছে এ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের এমনকি বাদ যায়নি প্রধান প্রকৌশলীও। নানা মিথ্যা অপপ্রচার জারি রাখতো তারা ফলে মনসত্ত্বাতিক চাপ নিয়েই সরকারি শুদ্ধাচার ধরে রাখতে হয়েছে। 

স্বাধীনতার পর এত লড়াই করতে হয়নি অন্য কোন দপ্তর বা তার প্রধানকে।  
ব্যতিক্রম ঘটেনি প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামিম আখতারের ক্ষেত্রেও। তিনি এলেন জয় করলেন এমন ধারাবাহিকতা অন্তত এই দপ্তরে আশা করা অনুচিত। তিনি এলেন সিন্ডিকেট ভাঙ্গল এবং প্রপগান্ডা শুরু হল এভাবেই প্রতিবেদকের সাথে নিজের শুরুর অভিজ্ঞতা জানালেন শামিম আখতার। ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর মোহাম্মদ শামীম আখতার গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

এসেই বিতর্কিত ঠিকাদার জিকে শামীমের ১৭টি প্রকল্পের চুক্তি বাতিল করে পুনঃদরপত্র কার্যক্রম শুরু করেন। এমন নজির গণপূর্তের ইতিহাসে নেই যোগ করেন শামিম আখতার। 'তারপর যা হয় আপনার শুদ্ধাচার যত কঠোর হবে আপনার বিরুদ্ধাচার তত দীর্ঘ হবে' যোগ করলেন তিনি। 
হাল না ছাড়ার গল্প শুনান তিনি বলেন, ৬৬ দিনের করোনাকালীন কর্মবিরতি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাপ তখন বেশি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন, কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন সেন্টারসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে চলছে। কাগজপত্র দেখে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য ১৭টি ২০ তলা বিল্ডিং করা হচ্ছে এসব কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টায় নেমে গেলাম। 
কথা বলতে বলতে প্রশ্ন করেছিলাম; এত এত প্রপাগান্ডার চাপ কি করে সামলান, বিনয়ী মোহাম্মদ শামিম আখতার বলেন; একটা জীবন এ রাষ্ট্র গঠনে ব্যয়  করেছি, সরকারের বিভিন্ন স্তরে কাজ করে এটুকু বুঝেছি ভয় পেলে চলবে না। আমাদের হারানোর কিছু নেই যা আছে সবটুকু এ মাটি মানুষের এখন বা আগেও যা যা করেছি তা এই মাটির ঋণ শোধে। একটা স্বচ্ছ সুন্দর আগামীর বাংলাদেশ আমাদের সবার চাওয়া। 

আপনার সময়ে উল্লেখ্যযোগ্য কাজ, প্রতিবেদকে থামিয়ে তিনি বলতে শুরু করেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতায় দেশের প্রতিটি জেলা ও উপলোয় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিককেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। আইন মন্ত্রণালয়ের ৬৪ জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট নির্মাণ, জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প। স্বরাষ্ট্রের ৪৬ ফায়ারস্টেশন নির্মাণ, বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিভাগের ৫০টি হাইওয়ে আউটপোস্ট ও ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৫০০ ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ১০০ উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ। বাস্তবায়িত হচ্ছে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়), জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বমুখী সমপ্রসারণ, ৩৭ জেলায় সার্কিট হাউসের ঊর্ধ্বমুখী সমপ্রসারণ প্রকল্প। ঢাকার রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও রমনা লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ, অফিসার্স ক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণ।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ শামীম আখতার রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি এবং ১৯৮৪ সালে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৯১ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল)  ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তিতে তিনি আইসিটি বিষয়ে ২০০২ সালে বুয়েট থেকে পোস্ট গ্রাজ্যুয়েট ডিপ্লোমা এবং ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারে ১৫তম (১৯৯৫) ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।

তিনি ১৯৯৮ সালে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ২০০৮ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী, ২০১৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ২০১৮ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি গত ২০১৮ সালের ৮ মে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং পরে পদোন্নতি পেয়ে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার আগে। দায়িত্ব নিয়েই তিনি বলেছেন, ‘সরকারের নির্মাণ সংস্থার পাশাপাশি দেশের নির্মাণশিল্পের গতি, মান ও কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে থাকে গণপূর্ত অধিদপ্তর।









 সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাব’র অ্যাওয়ার্ড পেলেন নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক মল্লিকা মুনা
প্রেম নয়, সোজা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন উরফি!
টি-টোয়েন্টি সিরিজের টিকেট বিক্রি শুরু আজ, পাওয়া যাবে অনলাইনে
অতীতে কখনোই রমজানে আন্দোলনের ঘোষণা দেখিনি : তথ্যমন্ত্রী
২৪ ঘণ্টার মাথায় কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনল বিএনপি
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

১১ বছর পর রায়, ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন
এক শো'তে ২৫ হাজার দর্শক মাতালেন আঁখি
বিএফডিএসের তত্মাবধানে বিশ্ব মুখ গহ্বর স্বাস্হ্য দিবস পালন
ফিড এনজিও'র কার্যক্রম শীগ্রই স্পেন থেকে বহির্বিশ্বে যাত্রা শুরু করবে
লক্ষ্মীপুরে সাবেক পৌর মেয়র তাহেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: [email protected]