প্রকাশ: রোববার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:৪৩ পিএম |
কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতসহ সকল পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকের ঢল নেমেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়ায় পর্যটকের আকর্ষণ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি পর্যটক মৌসুমে দেশী পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত কক্সবাজার। এ কারণে খোশমেজাজে আছেন।
গত বৃহস্পতিবার লক্ষীপূঁজা থাকায় দেশের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্টান বন্ধ। তার উপর শুক্র, শনিবার সরকারি ছুটি। সব মিলিয়ে তিন দিনের ছুটিতে জমজমাট কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সকল পর্যটন স্পট।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটক দম্পতি ওসমান গনি ও লিলি চৌধুরী জানান, গত ২৩ জানুয়ারি আমরা কক্সবাজার এসেছি। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারের কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা হয়েছে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, ইনানী ও হিমছড়ি পাথুরে সৈকত। আজকে আবার আমরা সৈকতে নামবো গোসল করার জন্য। খুবই ভালো লাগছে কক্সবাজার।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ জানান, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প কক্সবাজারের প্রাণ। পর্যটক না থাকলে এর আর্থিক প্রভাব পড়ে তৃণমুল পর্যায় পর্যন্ত। সরকার বিদেশি পর্যটকের আকর্ষণ বাড়াতে পরিকল্পনা নেওয়াটা এই শিল্পের জন্য খুবই ইতিবাচক। বিভিন্ন পর্যটন দ্বীপে অবাধে আসা যাওয়ার পথ সহজ করলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। আমরা চাই, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। কক্সবাজার সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট প্রধান অধ্যাপক মঈনুল হাসান পলাশ জানান, বছরের অধিকাংশ সময় কক্সবাজারে সন্তোষজনক পর্যটক থাকে। তাতে দেশী পর্যটকও থাকেন। পর্যটন মন্ত্রণালয় যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা যথাযত বাস্তবায়ন হলে পর্যটন শিল্প আরও চাঙ্গা হবে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজন আছে। নেতিবাচক প্রচারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কক্সবাজার হোটেল অফিসার্স ওনার্স এসোশিসেনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ জানান,পাঁচ শতাধিক হোটেলের সবকটি হোটেলের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং। সব মিলিয়ে দেড় লক্ষাধিক পর্যটক এখন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল জোনের সভাপতি মুকিম খাঁন জানান, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি ভালো। তাই পর্যটকে মুখরিত এখন কক্সবাজার। সেবারমান ও বেড়েছে সবকটি হোটেলে।
সৌদিয়া চেয়ার কোচ (বাস) এর কাউন্টার ম্যানেজার আবু বক্কর জানান, কক্সবাজার- চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা মহাসড়কে শতাধিক কোম্পানির বিলাসবহুল গাড়ি চলাচল করছে। কোন গাড়িতে সিট খালি নেই। প্রতিদিন লক্ষাধিক পর্যটক ঢুকছে কক্সবাজারে। তাছাড়া অসংখ্য পিকনিকের গাড়িও আসছে। কক্সবাজার ট্যুরিষ্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, কয়েকদিনের সরকারি ছুটি থাকায় বেশ কিছু পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। পর্যটকদের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পয়েন্টে আমাদের সেবা কেন্দ্র রয়েছে।