প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:৩৮ PM
শীতের সময়ে গলা ব্যথা হবে, এটি আমরা সহজ ভাবেই নেই। তবে যার গলা ব্যাথা করে সে বুঝে এর যন্ত্রনা কতটুকু। এটি সাধারণ ফ্লু-এর মতো দ্রুত সেরে যায় না। আর এটি যে কারণেই হোক না কেন, তবে গলা ব্যথার সমস্যা ভীষণ অস্বস্তিকর। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিজেকে নিতে হবে সঠিক যত্ন। সঠিক খাবার খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে এবং শরীরকে ভেতর থেকে রাখবে শক্তিশালী। তাই জেনে নেয়া যাক গলা ব্যথার সমস্যা দূর করতে সঠিক সমাধান। ঢাকাপোস্ট, ঢাকাট্রিবিউন
গলা ব্যথার লক্ষণ হলো: গিলতে অসুবিধা, ব্যথা, গলার ভেতরে ফোলাভাব, প্রদাহের কারণে অস্বস্তি, কফ
গলা ব্যাথা থেকে দেখা দিতে পারে অস্বস্তি, দুর্বলতা, অনবরত মাথা ব্যথা। গলা ব্যথা হলে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ, সেইসঙ্গে জেনে নিতে পারেন ঘরোয়া কিছু উপায়। যা আপনাকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে।
হলুদ ও পানি
ঘরোয়া উপায় হিসেবে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। পানির সঙ্গে সামান্য হলুদ ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিয়ে এই পানীয় সারাদিন ধরে অল্প অল্প পান করতে হবে। এর সঙ্গে তুলসি পাতা ফুটিয়ে নিয়ে গার্গল করলে আরাম পাবেন।
লবণ ও পানি
লবণ ও গরম পানির ব্যবহার হলো সবচেয়ে সহজ উপায়। হালকা গরম পানির সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে অল্প অল্প পান করতে পারেন। অথবা করতে পারেন গার্গলও।
মধু
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট এবং ক্ষত নিরাময়কারী হিসেবে মধুর সুখ্যাতি রয়েছে। এতে থাকা উপকারী উপাদানগুলো গলা ব্যথা সারিয়ে তুলতে কাজ করে। হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে নিন। এটি পান করলে গলা ব্যথা তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে শক্তিও জোগাবে।
লেবু ও গরম পানি
গলা ব্যথা হলে অনেকে তীব্র টক স্বাদের জন্য লেবু এড়িয়ে যেতে চান। তবে এটি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে, লেবু খেলে তা কফ বের করে দিতে এবং ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে লেবুতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। এটি প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। লেবু শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্টও।
চা
লবঙ্গ চা কিংবা গ্রিন টি খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গলায় আরাম দেবে। ক্যামোমাইল টি প্রাকৃতিক লুব্রিক্যান্ট হিসেবে কাজ করে যা আপনার গলায় প্রশান্তি দেওয়ার পাশাপাশি ভালো ঘুমেও সাহায্য করবে। ঘুম ভালো হলে তা অসুখ নিরাময়ে দ্রুত সাহায্য করে। এসবের পাশাপাশি খেতে পারেন গোল মরিচের চা।