শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
 
শিরোনাম: ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা        সব রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম        ফের রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়নের ঘরে        গবেষণায় বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া শিশুখাদ্য সেরেলাক নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য        উপজেলা নির্বাচনে নেতাদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা আ.লীগের        যেভাবেই হোক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী        চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ, হিট এলার্ট জারি       


শুভ জন্মদিন সজীব ওয়াজেদ জয়! সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি
শিব্বীর আহমেদ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২, ৪:৪৬ পিএম আপডেট: ২৬.০৭.২০২২ ৬:০৯ পিএম |

বায়ান্নতে পা রাখলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, ডিজিটাল বাংলাদেশের পিতা সজীব ওয়াজেদ জয়। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তার নানা জাদতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্তানের কারাগারে। বাংলাদেশের সমান বয়স সজীব ওয়াজেদ জয়ের। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গেই তার পথচলা। জয়ের নিশান হাতে নিয়েই তার জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যবেলায় জন্ম নিয়ে নাম নিলেন ‘জয়’। তাই ‘জয়’, ‘জয় বাংলা’, ’জয় বঙ্গবন্ধু’ যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে বাঙলা আর বাঙালির হৃদয়ে প্রানে প্রানে গানে গানে। প্রযুক্তির ডানায় ভর করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপে বিশ্বে বিশেষ পরিচিত দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে। বাংলাদেশ সরকারের একজন তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আধুনিক বাংলাদেশের অগ্রগতির রূপকার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন সারা বিশ্বে। 
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হবার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে লন্ডনে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ৭৫ পরবর্তী সময়ে তিনি মা-বাবার সাথে জার্মানি-লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ভারতেই তার শৈশব ও কৈশোর কাটে। ভারতের তামিলনাড়ুর পালানি হিলসের কোডাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক শেষ করেন জয়। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গর্ভমেন্ট থেকে লোক শাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে একজন আইটি প্রফেশনাল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ক্যারিয়ার শুরু করেন। হয়ে ওঠেন একজন সফল উদ্যোক্তা। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিনা ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে। নাম তার সোফিয়া। 


পারিবারিক ভাবেই আমার জন্ম হয়েছে একটি আওয়ামী পরিবারে। তাই পারিবারিক ভাবেই রক্তের বন্ধনে মিলে মিশে আছে ‘জয়’, ‘জয় বাংলা’, ’জয় বঙ্গবন্ধু’। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ম্লোগানের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরিবারের সবাই শিশুকাল থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা এই আমাদের পরিবারের রাজনৈতিক পরিচিতি ও আদর্শ। বাবা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদ’র এবং বড়ভাই সামসুল আলমের পথ অনুসরন করে ছোটবেলার স্কুলের গন্ডীতেই আমার ছাত্রলীগের রাজনীতির হাতেখড়ি। স্কুল পেরিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাথেই আমার বেড়ে উঠা। যুক্তরাষ্ট্রে এসেও আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম তুলে ধরাই হয়ে আছে জীবনের একটি অংশ। পাশাপাশি সাংবাদিকতা ও লেখালেখির কাজত আছেই। 
২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় মহান রাব্বুল আলামীনের অলৌকিক ক্ষমতাবলে প্রানে বেঁচে যান সজীব ওয়াজেদ জয়ের মা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাঁর চোখ ও কান। ২০০৬ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য ওয়াশিংটনে আসেন। এদিনই প্রথমবারের মত সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে আমার দেখা ও কথোপকথন। আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে আমিও উপস্থিত ছিলাম ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে। সহধর্মিনী ক্রিষ্টিনা ওবামায়ারকে সাথে নিয়ে মা’কে স্বাগত জানাতে এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। নেত্রী আসার পূর্বে এয়ারপোর্টে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় তাঁর সাথে। হাসিমুখে তাঁর সাথে ছবিও তোলা হল। সাথে ছিলেন প্রবীন সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী। কিছুক্ষন পরই জননেত্রী শেখ হাসিনা বের হয়ে এলে মুর্হুমুহু স্লোগানে সবাই নেত্রীকে ফুল দিয়ে বরন করে নেয় সবাই। নেত্রীর সফর সঙ্গী হিসাবে সাথে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি। এয়ারপোর্টেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলাপ হয় যা পরেরদিন প্রবাস সহ সারা বাংলাদেশের প্রিন্ট এবং টেলিভিশন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। 
পরেরদিন ওয়াশিংটনে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননত্রেী শেখ হাসিনা। সেই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেও সজীব ওয়াজেদ জয় স্বস্ত্রীক যোগদেন। অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় অনেকবারই কথা হয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে। দেশের উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি কথা হয় জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথেও। একদিকে দেশের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তার উপর সরকার পরিবর্তনের নানা খবরে সারা বিশ্বের দৃষ্টি তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। তাঁর নেয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের প্রতি নজর সারাবিশ্বের। আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী এবং সাংবাদিক হিসাবেও আমাদের আগ্রহের মধ্যমনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরেরদিন তিনি মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স হাসপাতালে চোখ ও কানের পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করেন। দেশের রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিতে তিনি আবারো ২৭ মার্চ দেশের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। বিদায় বেলায় নির্দিষ্ট কিছু নেতাকর্মী, সজীব ওয়াজেদ জয় স্ত্রী ক্রিষ্টিনা ওবামায়ার সহ আমরা কয়েকজন এয়ারপোর্টে উপস্থিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিদায় জানাই। 


দেশের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে ১০ আক্টোবর ২০০৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা সন্তানসম্ভাবা পুত্রবধু ক্রিষ্টিনা ওবামায়ারকে দেখতে আবারো ওয়াশিংটনে আসেন। এ সময় এয়ারপোর্টে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে সোহেল তাজকেও দেখা যায়। ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক খালিদ হাসানের বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে বৈঠক করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। একই দিন দুপুরে বিএনপি-জামাতের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভুমীর উপর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এই শুনানী নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে কথা হয় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক খালেদ হাসানের বাসভবনের বাইরে। প্রায় ৯দিন ওয়াশিংটনে অবস্থানের পর ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যান।  
১/১১ এর সেনা সমর্থীত ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীন রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৫ মার্চ ২০০৭ সালে আবারো ওয়াশিংটনে আসেন। ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ওয়াশিংটন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জননত্রেী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান শেষে শিশু কিশোরদের নিয়ে তিনি জন্মদিনের কেক কাটেন। ২১শে মার্চ তিনি ওয়াশিংটনে নেতাকর্মীদের সাথে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ২৫ মার্চ মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করেন। ১৪ এপ্রিল তিনি ওয়াশিংটনের বিসিডিআই-বাংলাস্কুল আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসবে যোগদান করেন এবং দীর্ঘ প্রায় একমাসেরও বেশি সময় পর ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননত্রেী শেখ হাসিনা ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীন সরকারের হুলিয়া হুমকি ধামকী উপেক্ষা করে দেশে ফিরে যান। এ সময় বিপুল সংখ্যক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসাবে দেশে যান। 
১৬ জুলাই সেনা সমর্থীত তত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করলে ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনসমূহ দূতবাসের সামনে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করে। ২৩ জুলাই ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট এর সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে মায়ের মুক্তির দাবীতে প্রথমবারের মত রাজপথে নেমে আসেন সজীব ওয়াজেদ জয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সেদিন তিনি মায়ের মুক্তির দাবীতে ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট’র সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বক্তৃতা করেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন সহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমমনাদের নিয়ে মায়ের মুক্তি আন্দোলনে ভিতরে বাইওে রাজপথে ছিলেন সক্রিয়। ২০০৮ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনাকে সামরিক তত্বাবধায়ক সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
২০০৬ সাল থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে বহুবার দেখা হয়েছে কথা হয়েছে। বাসায় গিয়ে তাঁর সাথে দেখা করেছি কথা বলেছি সাক্ষাতকার গ্রহন করেছি।  ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটি নিয়েও তাঁর সাথে কথা হয়েছে বহুবার। ওয়াশিংটনের বিভিন্ন জায়গায় রেষ্টুরেন্টে তাঁর সাথে সাক্ষাত হয়েছে কথা হয়েছে। যতবারই তার সাথে দেখা হয়েছে ততবারই তাকে ’জয় ভাই’ হিসাবে সম্বোধন করেছি। তিনিও সেটা হাসিমুখে গ্রহন করেছেন। দেখেছি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেতরে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো প্রচন্ডতা। রয়েছে পরিশ্রমী ও তারুণ্যের প্রাণময়তা। মূলত তিনি একজন আশাবাদী স্বপ্নবাদী মানুষ। বঙ্গবন্ধুর মতোই মানুষকে স্বপ্ন দেখতে বা আশাবাদী করে জাগিয়ে তোলার জন্য কথা বলেন ও কাজ করেন। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশের আইসিটি সেক্টরকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন। তরুণদের উজ্জীবিত করছেন মৌলিক গবেষণায়। বিএনপি-জামায়াতের গাত্রদাহের কারণ এজন্য যে, জয় উচ্চশিক্ষিত এবং যে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তার পুরোভাগে তিনি আছেন। শেখ হাসিনা যেমন নির্লোভ, মানুষকে ভালোবাসেন নিজের অন্তর থেকে, জয়ও তেমনিভাবে এগিয়ে চলেছেন। 
সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে যতবার দেখা হয়েছে ততবার কথা হয়েছে ততবারই মনে হয়েছে তিনি একজন স্বশিক্ষীত ও সুশিক্ষীত ভিশনারি নেতা। জয় ভাইয়ের মতে, ’ভবিষ্যতের নেতা এদেশের তরুণরাই।’ তাঁর মতে, ‘আমাদের দেশের তরুণরা এখন দেশের জন্য কাজ করতে যেভাবে এগিয়ে এসেছে, আগে সেটা দেখা যেত না। দেশের সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারব কি না, দেশকে এগিয়ে নিতে পারব কি না, সেই বিশ্বাস আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। কারণ স্বাধীনতার চেতনা আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম।’ কিন্তু ‘এখন আমাদেরকে শাইনিং স্টার বলা হচ্ছে। ‘নেক্সট ইলেভেন’-অর্থনীতির দেশের একটি আমরা।’ সজীব ওয়াজেদ জয় যা বলেন, তা একজন তরুণ নেতার আদর্শ ও বিশ্বাসের কথা। তিনি নিজে নতুন প্রজন্মের নেতা, তাই যুবসমাজের কাছে আলোকবর্তিকা হিসেবেই তিনি আবির্ভূত হয়েছেন।
মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কৃষি তথ্য, ই-পার্সপোর্ট সেবা, ই-টেন্ডারিং, ই-ডকুমেন্ট, ই-ফাইলিং, শিক্ষার্থীদের ই-ভর্তি ও রেজাল্ট কার্যক্রম, ই-গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল, ই-বাস, ট্রেন, বিমান টিকিট, রাইড শেয়ারিং, জমির পর্চা ও মিউটেশন পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ যাবতীয় তথ্যই এখন ঘরে বসে পাওয়া যাচ্ছে। ‘৯৯৯’ হেল্পলাইন এটি এখন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর, যেকোনো দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্তৃক সেবা প্রদান, সেবাটি দেশে একটি নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করছে। ৫৬টি মন্ত্রণালয়ের দুই হাজার ৮০০ সেবা ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৬০০ সেবা অনলাইনে চলে এসেছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত উচ্চগতির ফাইবার অপটিক্যাল স্থাপনের কাজ চলছে। সারাদেশে আট হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব' স্থাপন করা হয়েছে, দ্রুতই সকল প্রতিষ্ঠানকেই এর আওতায় আনা হবে। তরুণদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি ওয়েবপোর্টাল ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন' যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়েবপোর্টাল। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য বাংলাদেশ। সজীব ওয়াজেদ জয়ের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির বিনিয়োগও বাংলাদেশে এসেছে।
তিনি দেশের অগ্রগতির জন্য তরুণ সম্প্রদায়কে টার্গেট করেছেন। তরুণরাই আগামী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবে। এ জন্যই তিনি ‘লেটস টক', ‘পলিসি ক্যাফে এবং ‘ইয়াং বাংলা' প্লাটফর্মের সাথে মিলিত হয়ে নিয়মিত মতবিনিময় করে যাচ্ছেন। তরুণদের তিনি উদ্যোক্তা হতে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পরামর্শ দেন এবং তরুণদের থেকে কথা শোনেন। বৈশ্বিক করোনাকালেও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণ হাতের কাছেই পাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ নেই, অনলাইনে চলেছে ক্লাস, ভার্চুয়াল আদালতে চলছে বিচারকার্যক্রম, সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে প্রশাসন যন্ত্র সব কাজ করছে ই-প্লাটফর্মের মাধ্যমে, চিকিৎসাসেবা চলছে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে, সবধরনের কেনাকাটা করা যাচ্ছে ভার্চুয়াল দোকান থেকে। ‘৩৩৩’ হেল্পলাইন নম্বর থেকে করোনাবিষয়ক তথ্য, টেলিমেডিসিন সেবা, জরুরি খাদ্যসহায়তা, সেলভ করোনা টেস্টিংসহ যাবতীয় সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
সজীব ওয়াজেদ জয় মনে করেন, ‘সৎ সাহস ও নিজের আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কোনো কঠিন কাজ করা যায়। আমরা কারও চেয়ে কম নই। বিদেশের সঙ্গে আমরা সমানে সমান। সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে বিদেশি সার্টিফিকেট প্রয়োজন নেই।’ অর্থাৎ এই তরুণ নেতৃত্বের কাছে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরির ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে সততা এবং আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। সৎ না থাকলে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। আর মানুষের ভালোবাসা ছাড়া ক্ষমতায় আসা যায় না। তিনি বিশ্বাস করেন, নিজের দেশকে টেনে উঠাতে দেশপ্রেম দেখাতে হবে। বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে টেনে তোলার মধ্যেই দেশপ্রেম নিহিত রয়েছে। তিনি সবসময় ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতি করতে আসিনি, দুর্নীতি নির্মূল করতে এসেছি।’
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা বহমান তা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয় এই তৃতীয় প্রজন্মের নতুন নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সকল আকর্ষণ এখন কেন্দ্রীভূত। স্বাধীনতার চেতনায় মথিত সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবন। তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন বিচক্ষণতার সঙ্গে। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জনের পরও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হওয়ার জন্য জাতির পিতাকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত দিকে হাঁটা দায়ী। তাঁর বক্তব্য হলো- ‘আমরা লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। লড়াই করেই আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’ 
সজীব ওয়াজেদ জয় তরুণদের মূল্যবান কথা বলেছেন, ‘স্বাধীনতার চেতনা কোনোদিন ভুলবেন না। ভুলতে দেবেন না। আর কাউকে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেবেন না। এমন মিথ্যা প্রচারের সুযোগ দেবেন না, যাতে জাতি শহীদদের ভুলে যায়।’ তাঁর মতে, ‘যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারা বাংলাদেশের ওপর কী বিশ্বাস রাখবে?’
সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি শুধু প্রযুক্তির বিকাশে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে যান, কখনও সামনে আসেন না। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্যপদ প্রদান করলেও সেভাবে কখনও রাজনীতি জড়াননি। আওয়ামী লীগের প্রতিটি জাতীয় কাউন্সিলের আগে সারাদেশের তৃণমুল নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে প্রচন্ড চাপ থাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নেয়ার জন্য। কিন্তু প্রতিবারই তিনি সরাসরি পদ গ্রহণের বিষয়টা এড়িয়ে যান। পদ ছাড়াও যে মানুষের পাশে থাকা যায়, দেশের জন্য কাজ করা যায়, সেটার তিনি অনন্য উদাহরণ। 
তবে তিনি হাল ধরবেন এই বিশ্বাস আমাদের সবার। কারন তরুণ প্রজন্ম আজ তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য উত্তরসূরী, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, তরুণ সমাজের আইকন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর কর্মকান্ডে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। বাংলাদেশের আজ যে অগ্রগতি তার মূলে রয়েছে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার। ‘রূপকল্প -২০২১’, রূপকল্প -২০৪১’ ও ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেপথ্যে থেকে যিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি হচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ২৭ জুলাই ২০০২ তাঁর ৫২তম জন্মদিন। জয় ভাইয়ের এই শুভ জন্মদিনে দেশের কোটি মানুষের মত আমিও চাই তিনি সামনে আসুন। তাঁর নানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মা জননেত্রী শেখ হাসিনার মত করে বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের হাল ধরুন। 
সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের প্রতীক এবং সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি। শুভ জন্মদিন সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই। 

লেখক, শিব্বীর আহমেদ : কথাসাহিত্যিক সাংবাদিক, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র







আরও খবর


 সর্বশেষ সংবাদ

শুক্রবার শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কার বিপক্ষে কে লড়ছেন
রেকর্ডময় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ইতিহাস গড়া জয়
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা
সব রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম
উপজেলা নির্বাচন: শেরপুরে ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

শেরপুর জেলা জবিয়ান ফোরামের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
উপস্থাপনা নিয়ে ব্যস্ত সানজিদা রোজ
আলহাজ আমিনউদ্দিন হাই স্কুলের ৫০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত
আসছে তামান্না ও শুভ'র রোমান্টিক গান ভালোবাসি বলেছি
‘সিরাজদিখানের সন্তান’ আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিক সাহেবকে কাজ করার সুযোগ দেন
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com