শিরোনাম: |
কেয়ারটেকার প্রশ্নে আদালতের বাইরে এক সুতাও ছাড় হবে না : আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন তারা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দের উপর আনীত ছাটাই প্রস্তাব নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন। তারা নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি জানান। বিরোধী দলীয় সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি কি পাকিস্তানে থাকে, তাদেরকে নির্বাচনের জন্য হাত ধরে ডেকে আনতে হবে। তাদের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন হয়েছে। এখন কেয়ারটেকার সরকারের দাবি করছেন। কিন্তু এই প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বাইরে এক সুতাও ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেয়ারটেকার সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নিয়েছেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সিইসি ও চারজন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি দলীয় দুইজন সংসদ সদস্য বিগত নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ তারাই ওই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে এই সংসদে এসেছেন। তারা এই সংসদে নিয়মিত কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমোরিকাসহ বিশ্বের কোথাও বলার সুযোগ নেই শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো সম্পর্কে বিস্তরিত তথ্য তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে হা-না ভোট দেখেছি। প্রেসিডেন্ট পদে ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু কাউকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হয়নি। বিএনপি আমলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা সকলেই জানেন। মাগুরার উপ-নির্বাচনেও কি হয়ে তা সকলের জানা আছে। তাদের সময়ে জাস্টিস আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা দেখেছি। এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে বলে তিনি দাবি করেন।
|